বরিশালে দুদকের মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

বরিশালে দুদকের মামলায় স্বামী-স্ত্রীর কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর শাহনাজ পারভীন ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমানকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ এ রায় দেন। বুধবার (২৮ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর শাহনাজ পারভীন ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমানকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ এ রায় দেন। বুধবার (২৮ আগস্ট) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে শাহনাজকে দুই ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৪১ লাখ চার হাজার ৮৪৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে শাহনাজকে ৯ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া শাহনাজের স্বামী মাহফুজুরকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে মাহফুজুরকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় স্বামী-স্ত্রী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত ভান্ডারিয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটর শাহনাজ পারভীন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম আউরা গ্রামের বাসিন্দা। শাহনাজের স্বামী একই গ্রামের বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে শাহনাজ পারভীন ১২ লাখ ৬৪৯ টাকার তথ্য গোপন করেন। তখন ৩৪ লাখ ২৩ হাজার ৮০০ টাকার মিথ্যা তথ্যও দেন তিনি। তারপর তদন্তে ৫০ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ মেলে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট দুদকের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে শাহনাজকে আসামি করে মামলা করেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে স্ত্রীকে সহায়তার অভিযোগে মাহফুজুরসহ শাহনাজের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *