চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরের বাইরে ট্রেইলার ড্রাইভারদের কর্মবিরতি চলছে। নিয়োগপত্র নিশ্চিতের দাবিতে এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসে। বন্ধ রয়েছে কনটেইনার পরিবহন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি।
চট্টগ্রাম বন্দর ও বন্দরের বাইরে ট্রেইলার ড্রাইভারদের কর্মবিরতি চলছে। নিয়োগপত্র নিশ্চিতের দাবিতে এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য খালাসে। বন্ধ রয়েছে কনটেইনার পরিবহন। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে এনসিটি ও সিসিটি গেটের সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
এতে বন্দরের ভেতরে কনটেইনার পরিবহনে আসা ট্রেইলারগুলো আটকা পড়েছে। অন্যদিকে ভেতরে প্রবেশ করেনি কোনো ট্রেইলার। তবে স্বাভাবিক রয়েছে বন্দরের পণ্য ওঠানামা। তবে ট্রেনযোগে যে কনটেইনারগুলো সারা দেশে যায়, সেই কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক রয়েছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলও।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– প্রাইমমুভার ট্রেইলার চালক ও সহকারীদের নিয়োগপত্র দেওয়া; ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সরকারঘোষিত নিম্নতম মজুরি প্রদান; শ্রমঘণ্টা বাস্তবায়ন।
শ্রমিকদের দাবি, একাধিকবার দাবি আদায়ে কর্মসূচি দিলেও মালিকপক্ষ নিয়োগপত্র দিতে গড়িমসি করছে। দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতি চলমান রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
তবে মালিকরা বলছেন, এটি অনেক আগেই সুরাহা হওয়া একটি বিষয়। এটি অনেকবার সমাধান হয়েছে এবং এ নিয়ে আদালতে একটি রিটও করা হয়েছে। আদালতে সুরাহা হওয়ার আগে শ্রমিকদের এ দাবি অন্যায্য বলে দাবি করছেন তারা।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র নিশ্চিত করা না হবে এবং শ্রম আইনের সব নীতি অনুযায়ী শ্রমিকরা সুবিধা না পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানে তারা নতুন সিদ্ধান্তে যাবেন।
আরএমএন/এসএসএইচ