বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

এক মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইউনিটটি চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। 

এক মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইউনিটটি চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। 

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে এ ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়।

এর আগে গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩য় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭৫ মেগাওয়াট। এ ইউনিটে প্রতিদিন ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ২শ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়। 

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিট স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক দুই হাজার ২শ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা মজুত রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে, তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনই চালানো হয়নি। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে তৃতীয় ইউনিট চালু করা হয়েছে, তা থেকে উৎপাদিত ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিট সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়েছে, এটি চালু করতে অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে। ৩য় ইউনিট চালু হওয়ায় এ অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৪ বছর ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখন বন্ধ রয়েছে। ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হতো ৬৫-৭০ মেগাওয়াট। 

তিনি আরো জানান, করোনাকালিন সময়ে চাইনিজ কোম্পানি সময় সময় দিতে পারেনি এবং বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার করানে ২ নম্বর ইউনিটটির সংস্কার কাজ পিছিয়ে পড়েছে। আশা করা যায় খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে। 

ইমরান আলী সোহাগ/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *