ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি আন্দোলনে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফেনী প্রেসক্লাবে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলা জামায়াতের আমির একেএম শামসুদ্দিন।
তিনি বলেন বলেন, আজকের এ অবস্থানে আসতে অসংখ্য ছাত্র শহীদ হয়েছেন। তাদের সবসময় আমরা স্মরণ করব। এ সূর্য সন্তানদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানাব। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় তাদের পরিবারের জন্য একটি ভাতা প্রক্রিয়া চালু করার দাবি করছি। তাদের দেওয়া সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও লুটপাট বন্ধ করতে না পারলে ছাত্র-জনতার সব ত্যাগ বৃথা যাবে।
দেশে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা জামায়াতের এ নেতা বলেন, স্বৈরাচার সরকার দেশ থেকে চলে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। কেউ যেন আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। আমরা এতে ব্যর্থ হলে এতজন শিক্ষার্থীর জীবন বৃথা যাবে।
একেএম শামসুদ্দিন বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব উপজেলায় টিম করে মন্দির পাহারাসহ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করছে। হিন্দুরা দেশে সংখ্যালঘু নয়। এ ধরনের কোনো শব্দ নেই। সবাই আমরা একসঙ্গে বসবাস করব। তারাও আমাদের ভাই। পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য মন্দিরে হামলার গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
এসময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহ সেক্রেটারি আবদুর রহিম, শহর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াস, জেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইমাম হোসেন এবং শহর শিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ