উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। পরে এই পদে তিনি সামাজিকবিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছেন।
উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। পরে এই পদে তিনি সামাজিকবিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়োগ করেছেন।
বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী এক বছর আগেই ওই দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেদ হাচানিকে বরখাস্ত করেছেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হিসাবে সামাজিকবিষয়ক মন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে নিযুক্ত করেছেন বলে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বুধবার গভীর রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের আগস্টে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাচানির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। বরখাস্ত করার কয়েক ঘণ্টা আগে হাচানি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, দেশের খাদ্য ও জ্বালানির চাহিদা সুরক্ষিত করাসহ বিশ্বব্যাপী নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তার সরকার বেশ কয়েকটি বিষয়ে অগ্রগতি করেছে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, দেশের অনেক অংশে বারবার পানি ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণের অসন্তোষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ হাচানিকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। যদিও সরকার বলছে, তিউনিসিয়া ক্রমাগত খরায় ভুগছে যার ফলে পানি বণ্টনে কোটা ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
অবশ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পানি হ্রাস পাওয়াকে কাইস সাইদ ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন এবং বলেছেন, বাঁধগুলো পানিতে পূর্ণ আছে। তবে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বাঁধে পানির স্তর অত্যন্ত সংকটজনক এবং তা ২৫ শতাংশে নেমে গেছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাইদ সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
যদিও দেশের বিরোধী দল, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
তাদের অভিযোগ, দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট সাইদ প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর বিধিনিষেধ জারির পাশাপাশি ভীতি প্রদর্শনের মতো কাজও করছেন।
টিএম