পুলিশে ছিল ‘ব্র্যান্ড গোপালগঞ্জ’

পুলিশে ছিল ‘ব্র্যান্ড গোপালগঞ্জ’

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য (ভিসি), সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা পদত্যাগ করছেন। তাঁরা সবাই বিগত সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয়, সংকটের কারণ দলীয়করণ

বর্তমানে দেশে ৫৫টি স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি। বাকি ৫১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকার বিদায়ের পর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২৫ জন উপাচার্য, ১২ জন সহ-উপাচার্য এবং ৭ জন কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।

দেশ রূপান্তর

পুলিশে ছিল ‘ব্র্যান্ড গোপালগঞ্জ’

পুলিশের পরিদর্শক এ বি এম ফরমান আলী দেড় যুগের বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশে। ঘুরেফিরে কাটিয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে। তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পাননি পুলিশের কোনো সদস্য।

শুধু তা-ই নয়, ফরমান আলীর বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনীতিক। ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বড় নেতা। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিল ফরমান আলীর অবাধ যাতায়াত। পুলিশে আছে তার বিশাল সিন্ডিকেট।

কালের কণ্ঠ

অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে নাজুক অর্থনীতি

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুরবস্থার জন্য দায়ী বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। গত দেড় দশকে দেশের অর্থনীতি বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে। বিগত সরকারের চরম অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অর্থপাচার ও অপরিণামদর্শী প্রকল্পে দেশি-বিদেশি ঋণ নেওয়ার কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, সদ্যোবিদায়ি ওই সরকারের শেষ সময়ে দেশের অর্থনীতি অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ে। আর এই নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি সুসংহত করতে দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন এ সরকারের সামনে বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

মানবজমিন

এনটিএমসি যেভাবে নজরদারি করতো

রাজনৈতিকভাবে কাউকে হেনস্তা করতে হলে আগে টার্গেট করা হতো ব্যক্তিকে। তারপর তার মোবাইল ফোনে আড়িপাতা হতো। ব্যক্তিগত বা স্পর্শকাতর আলোচনা প্রথমেই ফাঁস করা হতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

শুধু রাজনৈতিক নয় সরকারের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে তার কল রেকর্ডও ফাঁস করা হয়েছে। এমন নজির রয়েছে ভূরি ভূরি। তাই নাগরিকের মোবাইলে আড়িপাতা, নজরদারিতে রাখা, ফেসবুক- মেসেঞ্জার, এক্স, টেলিগ্রাম, ভাইবার, ইমো ও স্কাইপিতে এমনকি ওয়েবসাইট ব্লক ও ই-মেইলে আড়িপাতার অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত টেলি যোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনটিএমসি’র  বিলুপ্তির দাবি উঠেছে।

যুগান্তর

বিপুর মাফিয়া সিন্ডিকেট

আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে চলেছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব ঘটনাকে লুটপাটের মহোৎসব হিসাবে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব অপকর্মের নেপথ্যে ছিল একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। এক যুগ ধরে এর (সিন্ডিকেট) নেতৃত্ব দিয়েছেন খোদ সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

জানা যায়, একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া থেকে শুরু করে অনুমোদন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি ধাপে ওই সিন্ডিকেটকে টাকা দিতে হতো। এর মধ্যে ছিল প্ল্যানিং, সাইট ভিজিট, মেশিনপত্র অনুমোদন দেওয়া, নেগোসিয়েশন, প্রকল্পের সাইট সিলেকশন, মাটি ভরাট, জমি ক্রয়, বিদ্যুৎ ক্রয়ের দরদাম ঠিক করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা বা কমিশনিং, মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠানো, ক্রয় অনুমোদন, বিল অনুমোদন, বিল ছাড় করা-অর্থাৎ প্রতিটি খাতে এ সিন্ডকেটকে টাকা দিতে হতো।

বণিক বার্তা

অপরাধ ব্যক্তি ও পর্ষদের, শাস্তি আমানতকারী ও প্রতিষ্ঠানের

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নীতিনির্ধারণী সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় গত দশকে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ব্যাংকটির প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার সন্তানদের নেতৃত্বাধীন পর্ষদ। সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান জয়নুল হক সিকদার। এরপর ব্যাংকটির অনিয়ম বন্ধে উদ্যোগী হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ব্যাংকটির ওপর। বন্ধ করে দেয়া হয় ঋণ বিতরণ কার্যক্রম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন ন্যাশনাল ব্যাংকের ভালো গ্রাহকরা।

কালবেলা

আনিসুলের ছোঁয়ায় বিচারাঙ্গন চালাতেন তৌফিকা করিম

অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম। একাধারে একজন আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও ব্যাংকার। আইন অঙ্গনে পরিচিত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। তাদের ঘিরে নানা মুখরোচক গল্প হতো আড়ালে। এই আনিসুল হকের ছোঁয়ায় তৌফিকা করিম ছিলেন বিচারাঙ্গনের অঘোষিত ‘নিয়ন্ত্রক’।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একক আধিপত্য ছিল এই নারীর। ফলে মন্ত্রী ও তার বান্ধবী মিলে আদালত অঙ্গনের নিয়োগ ও পদায়নের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সব আদালতেই জনবল নিয়োগ হয়েছে মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী।

এছাড়া রিজার্ভ বাড়াতে, মূল্যস্ফীতি কমাতে উদ্যোগ; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন / আরও ৩টি অস্ত্রোপচার লাগবে হাসানের; শেখ হাসিনাকে কোথাও আশ্রয় দেওয়া হবে না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *