প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীদের আক্রমণের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে থানা ও থানার কোয়ার্টারে যেন আর কোনো আক্রমণ না হয় সেজন্য পাহারা দিচ্ছেন কোটা আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমন্বয়করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর আন্দোলনকারীদের আক্রমণের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে থানা ও থানার কোয়ার্টারে যেন আর কোনো আক্রমণ না হয় সেজন্য পাহারা দিচ্ছেন কোটা আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমন্বয়করা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল সোমবার বিকেলে আনন্দ মিছিলের একপর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাট করা হয়। সেই ধ্বংসযজ্ঞে থানার পুলিশ ক্লাব, মূল ভবন, গ্যারেজ, ট্রাফিক পুলিশ রুমসহ বিভিন্ন কক্ষে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করা হয়। শুধু তাই নয়, এমন ধ্বংসযজ্ঞের পর কিছু সংখ্যক লোক থানার প্রতিটি কক্ষে ঢুকে লুটপাট চালায়। তাছাড়া থানার হেফাজতে থাকা নতুন-পুরাতন বাইক, সিএনজি, রিকশাসহ বিভিন্ন যান লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এমন চিত্র দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। কেউবা করছেন আফসোস আবার কেউ এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
সদর থানায় আক্রমণকালে যেন জমদূতকে দেখতে পেয়েছেন, এমনটিই জানিয়েছেন কোয়ার্টারে থাকা পুলিশ সদস্যদের পরিবারবৃন্দ। ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে এক পুলিশ সদস্যের ছেলে মো. মারুফ হোসেন বলেন, আক্রমণকালে পুলিশ কোয়ার্টারে ৮টি পরিবার ছিল। জীবনের প্রথম এমন চিত্র দেখে মনে মনে ভাবছিলাম হয়ত পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরতে পারব না। তবে একপর্যায়ে কোয়ার্টার থেকে পেছনের ড্রেনের পাশ দিয়ে আমাদের নিরাপদে বের করে দেওয়া হয়। আল্লাহ রহম না করলে বাঁচতে পারতাম না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাহারাত সমন্বয়করা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা ছিল কেউ যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে। তাছাড়া ভোর ৫টা থেকে আমরা ছয়জন সমন্বয়ক সদর থানায় পাহারারত আছি। চেষ্টা করছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনগণের জানমালের যেন আর কোনো ক্ষতি না হয়। তাছাড়া পুলিশ ও তার পরিবারদের যেন কেউ কোনো ক্ষতি করতে না পারে সেই বিষয়টিও আমরা লক্ষ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এমন অবস্থা মনে খুব আঘাত দিচ্ছে। তারপরও প্রতিদিনকার মতো কাজগুলো করে যাচ্ছি।
মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ