জবি থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষরের আয়োজন করেছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যদি বাইরের কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে গেটলক কর্মসূচি করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষরের আয়োজন করেছেন জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যদি বাইরের কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে গেটলক কর্মসূচি করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনে ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন।

এর আগে বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে কলা ভবন ও বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে রফিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভাড়াটিয়া ভিসি আসলে, গেইটে তালা ঝুলবে,’ ‘জবি থেকে ভিসি চাই, দিতে হবে-দিতে হবে’ বলে স্লোগান দেন।

এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন নির্দলীয় উপাচার্য দিতে হবে। সব ধরনের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে যিনি মেরুদণ্ড সোজা করে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন, এ রকম উপাচার্য দিতে হবে। জবির বাইর থেকে উপাচার্য আসলে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। 

এ সময় বহিরাগত উপাচার্যকে কোনো ধরনের সহযোগিতা না করারও ঘোষণা দেন তারা। 

পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে হতে গত ১৯ বছরে কোনো ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রত্যেকবার এই ভিসি নিয়োগের বিষয়ে একটি অপশক্তি কাজ করে। এবার যদি বাইর থেকে ভিসি আসে তাহলে গেটে তালা ঝুলবে। ছাত্ররা নিজেদের অধিকার আদায় করা শিখে গেছে। এখন আর কোনো ধরনের অন্যায়, অবিচার, জুলুম আর সহ্য করা হবে না। ছাত্র জনগণ রক্ত দিতে শিখে গেছে। এখন আমাদের একটাই দাবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ভিসি চাই।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাফি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের দাবি একটাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি চাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। এর গুরুত্ব এই শব্দের মধ্যেই নিহিত। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শাসন করতে চায়, যার ফল হিতের বিপরীত হয়। এখানকার সমস্যা এখানকার শিক্ষকই একমাত্র বুঝতে পারে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তা বুঝতে সক্ষম নয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এখান থেকেই নিয়োগ দিতে হবে।

ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন বলেন, আমরা যে দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি সেই দাবি পূরণ করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিগত আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে ঢাকায়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে তাদের যে দাবি সেগুলোর মাঝে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

এমএল/এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *