গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ যখন উত্তাল, তখন ফেনী থেকে চট্টগ্রামে চাচার বাসায় বেড়াতে যায় সাইফুল ইসলাম আরিফ। সেখানেই জুলাইয়ের শেষ দিকে নিয়মিত অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে। ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর ও গুলিতে আহত হয় সাইফুল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দীর্ঘ ৫৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে। চাচার বাসায় বেড়াতে যাওয়াই যেন কাল হয়েছে সাইফুলের জন্য।
গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ যখন উত্তাল, তখন ফেনী থেকে চট্টগ্রামে চাচার বাসায় বেড়াতে যায় সাইফুল ইসলাম আরিফ। সেখানেই জুলাইয়ের শেষ দিকে নিয়মিত অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে। ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর ও গুলিতে আহত হয় সাইফুল। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দীর্ঘ ৫৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে। চাচার বাসায় বেড়াতে যাওয়াই যেন কাল হয়েছে সাইফুলের জন্য।
নিহত সাইফুল ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৌশল্যা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, সাইফুল দাগনভূঞার দরবেশের হাট ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার বাবা আলতাফ হোসেন এলাকায় কৃষি কাজ করেন। পরিবারে এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সাইফুল সবার বড় ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চাচার বাসা থেকে গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নেয় সাইফুল। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর ও গুলিতে আহত হয় সে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১ মাস ১৫ দিন চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৭টার দিকে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সাইফুল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিহতের চাচা আমজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাইফুল গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগেও টানা ৪-৫ দিন আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। পরবর্তীতে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে। অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ভাতিজাকে বাঁচাতে পারলাম না।
এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে সাইফুলের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, কৃষি কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছা ছিল। শেষ পর্যন্ত তার এসএসসি পরীক্ষাও দেওয়া হলো না। ওই সন্ত্রাসীরা সন্তানের সঙ্গে আমার সব স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে। জানি না এ হত্যার বিচার পাব কিনা। চট্টগ্রামে বেড়াতে যাওয়াই যেন ছেলেটার জন্য কাল হয়েছে।
ঢাকায় জানাজা শেষে আজ দাগনভূঞার নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
তারেক চৌধুরী/আরএআর