ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে মনের ভেতরে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেছেন উপজেলা বিএনপি নেতারা। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে মনের ভেতরে থাকা জ্বালা-যন্ত্রণার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেছেন উপজেলা বিএনপি নেতারা। উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন।
এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, গত ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের ওপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এরই প্রতিফলন এটা। বলা যায় এটা এক ধরনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল লুটপাট করা। মেয়রের সঙ্গে থাকতেন, আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যেতেন এমন লোকজনও এই লুটপাটে অংশ নেয়।
তারা বলেন, আখাউড়ায় আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি ছিল না। কেউ করতও না। একদিন একটা মিছিল হয়। গত ৪ আগস্ট আরেকটি মিছিল হলে সেখানে বাধা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। এক শিক্ষার্থীর হাত থেকে কাগজ নিয়ে ছিঁড়ে শাপলু বলতে থাকেন, ‘হোয়াট ইজ এক দফা’। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হন। পরদিন আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন যোগ দিলে সেটি আরও জোরালো হয়। এ সময় মেয়রকে অনুরোধ করা হয় কিছুক্ষণ মিছিল করে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু মেয়র এতে বাধা দেন। এরই মধ্যে বড় একটি মিছিল এসে পৌর এলাকায় ঢুকে। এরপরই মেয়র, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন— উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম ভূঁইয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ।
সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মাজহারুর করিম অভি/এমএ