আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়

আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে জামায়াতে ইসলামী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাতবরণকারীদের মধ্যে ২৫ জনের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে জামায়াতে ইসলামী।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।

বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. অধ্যাপক আবুল হাসান সাদেক, ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ ও মু. আতাউর রহমান সরকার, বিশিষ্ট ব্যাংকার নূরুল ইসলাম, হলি চাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমানউল্লাহসহ ২৫ ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যরা।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৫ ‘শহীদ’ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। তাদের পারিবারিক সমস্যার কথা শোনেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানে সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি শহীদ পরিবারদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং সান্ত্বনা দেন। পরে তিনি শহীদ পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো বিজয় অর্জন করেছি। তাই এ দেশে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও বাকশালীদের স্থান হবে না। কোন অপরাধী, জুলুমবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের অপতৎপরতা সংগ্রামী ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। নতুন করে এদেশে স্বৈরাচারী, বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি কেউ শুরু করলে তাদেরও শেখ হাসিনার ভাগ্যবরণ করতে হবে।

তিনি রাজনীতি নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সেলিম উদ্দিন বলেন, যারা সাম্প্রতিক আন্দোলনে স্বজন হারিয়েছেন, আমরা স্বজন ফিরিয়ে দিতে পারব না; পারব না স্বামী হারানো বিধবাদের স্বামী ফিরিয়ে দিতে। তবে, আমরা সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করব। ছাত্ররা রাজপথে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন জাস্টিস তথা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু জাস্টিস প্রতিষ্ঠার অদ্বিতীয় মাধ্যম হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ। এ জন্য বাস্তব জীবনে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, দেশে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন করা গেলে এ দেশে জাস্টিস প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

জেইউ/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *