শরীরে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছেন। দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের। হেলমেট বিহীন কোনো মোটরসাইকেল চালককে দেখলেই বলছেন, ‘আঙ্কেল হেলমেট ইউজ করতে হবে’। মোটরসাইকেল চালকরা ঠিক আছে-বলে চলে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে অন্যদেরও ভালোভাবে যেতে বলছেন।
শরীরে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছেন। দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের। হেলমেট বিহীন কোনো মোটরসাইকেল চালককে দেখলেই বলছেন, ‘আঙ্কেল হেলমেট ইউজ করতে হবে’। মোটরসাইকেল চালকরা ঠিক আছে-বলে চলে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে অন্যদেরও ভালোভাবে যেতে বলছেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর আক্রমণের শিকার হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ সড়ক ছেড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন। এই সময়ে এমনিভাবে জয়পুরহাট জেলা শহরের সড়ক যানজটমুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন মাহিশা আক্তার মাহি নামের এক শিক্ষার্থী। সে জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে জয়পুরহাট জেলা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে দায়িত্ব পালন করার চিত্র দেখা গেছে। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কয়েকজন সেচ্ছাসেবক ওই শিক্ষার্থীকে সাহায্য করছিলেন।
মাহিশা আক্তার মাহি বলে, আমি ট্রাফিক পুলিশ ও বড়দের এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি, আর শিখেছি। আমি এখানে ট্রাফিক সিগন্যালের নিয়ম সবাইকে দেখাচ্ছি আর সাহায্য করতেছি। যাতে গাড়ি চলাচলে কোনো যানজট না হয়।
এই জেলার জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সড়কে মানুষের চলাচল বেড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় গণপরিবহন কম ছিল। ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। অনেকেই হেঁটে চলাচল করছেন। তবে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা এলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি ছিল না।
চম্পক কুমার/এএমকে