অত্যাচারীকে কতটুকু ছাড় দেন আল্লাহ তায়ালা?

অত্যাচারীকে কতটুকু ছাড় দেন আল্লাহ তায়ালা?

পৃথিবীতে দাম্ভিক, স্বৈরাচার, অত্যাচারীর ইতিহাস অনেক পুরনো। যুগে যুগে অসংখ্য দাম্ভিক অতিবাহিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে সাময়িক সুযোগ দিলেও ছেড়ে দেন না কখনো। সব অত্যাচারীর জন্য আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত সময় রাখেন। যখন কেউ সব সীমা লঙ্ঘন করে ফেলে তখনই আল্লাহ তায়ালা তাকে চূড়ান্ত পাকড়াও করেন। 

পৃথিবীতে দাম্ভিক, স্বৈরাচার, অত্যাচারীর ইতিহাস অনেক পুরনো। যুগে যুগে অসংখ্য দাম্ভিক অতিবাহিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে সাময়িক সুযোগ দিলেও ছেড়ে দেন না কখনো। সব অত্যাচারীর জন্য আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত সময় রাখেন। যখন কেউ সব সীমা লঙ্ঘন করে ফেলে তখনই আল্লাহ তায়ালা তাকে চূড়ান্ত পাকড়াও করেন। 

আল্লাহ তায়ালা যখন পাকড়াও করেন তখন রক্ষা পাওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকে না। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে— ‘যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন নিশ্চয় আমি তোমাদের শাস্তি দেবই।’ (সূরা দুখান, আয়াত : ১৬)

আল্লাহ তায়ালা যখন অত্যাচারী পাকড়াও করেন তখন তার পালাবার বা কোথাও আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এর অসংখ্য নজির রয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে। স্বৈরাচারী ফেরাউন, নমরুদ, বুখতে নাসর এর অন্যতম উদারহণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এছাড়াও যুগে যুগে স্বৈরাচার উৎখাতে কাজ করতে হয়েছে মানুষকে। 

প্রত্যেক যুগের মানুষকেই মূলত ন্যায়ের পক্ষ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচতে হয়। এটাই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। অত্যাচারীর অত্যাচার কখনো কখনো এতোটাই বেড়ে যায় যে, এ থেকে মুক্তির কোনো রকম আশা-ভরসা থাকে না। মনে হয় এ অত্যাচার কখনোই শেষ হবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জ্বলবে এই অত্যাচার-অনাচারের আগুন। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা মজলুমকে কখনো নিরাশ করেন না। তিনি কিছুর ব্যাপারে অবগত এবং নির্ধারিত সময়েই তিনি প্রতিকার করেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে— ‘বলো, আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপ, অন্যায়, বিরোধিতা, আল্লাহর অংশীদার স্থির করা যে ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ নাজিল করেননি, আর আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদের অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আর প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে। সুতরাং যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরা করতে পারবে না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৩-৩৪)

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তিনি তাদেরকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থীর, ভীত বিহবল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূণ্য (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪২-৪৩)।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *